রসুল তোমাদেরকে যা কিছু দেয় তা তোমরা গ্রহণ কর। আর যা থেকে সে তোমাদেরকে বিরত থাকতে বলে তা থেকে বিরত থাক। (সূরা ঃ হাশর ঃ আয়াত ঃ ৭)
তিনি নিজের থেকে কিছু বলেন না। ইহা তো প্রত্যাদেশ যা তাঁর প্রতি নাযিল করা হয়। (সুরা ঃ নাজম ঃ আয়াত ঃ ৩-৪)
মহান আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন- হে নবী! আপনি বলে দিন, তোমরা যদি সত্যিই মহান আল্লাহ তা’আলার প্রতি ভালবাসা পোষণ কর, তবে আমাকে অনুসরণ কর তাহলে তিনি (মহান আল্লাহ তা’আলা) তোমাদেরকে ভাববাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (সূরা ঃ আল ইমরান ঃ আয়াতঃ ৩১)
মহান আল্লহ তা’আলা আরো বলেন- অর্থাৎ অবশ্যই তোমাদের জন্য রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবনে এক উত্তম আদর্শ রয়েছে। (সুরা ঃ আহযাব ঃ আয়াত ঃ ২১)
মহান আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন- অর্থাৎ তোমার প্রতিপালকের শপথ। এরা কিছুতেই ঈমানদার হতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের পারস্পরিক মতভেদের বিষয় ও এ ব্যাপারে তোমাকে বিচারক হিসেবে মেনে না নেবে। তারপর তুমি যে ফায়সালা দিবে সে সম্পর্কে তারা নিজেদের মনে কোন দ্বিধাবোধ করবে না এবং সর্বান্তকরণে তা মেনে না নেয়া। (সূরা ঃ নিসা ঃ আয়াত ঃ ৬৫)
মহান আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন- অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যাপারে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয় তবে তাকে মহান আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও, যদি তোমরা সত্যিই মহান আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমানদার হয়ে থাক। (সূরা ঃ নিসা ঃ আয়াত ঃ ৫৯)
মহান আল্লাহ তা’আলা আরো বলেন- অর্থাৎ যে ব্যক্তি রাসূলের আনুগত্য করে সে প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহ তা’আলার আনুগত্য করল। (সূরা ঃ নিসা ঃ আয়াত ঃ ৮০)
১. হযরত আবূ হুরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবী করীম সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি যে সব বিষয় আলোচনা না করে তোমাদের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। সে সব ব্যাপারে আমাকে তোমরা প্রশ্ন করো না। তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের অত্যধিক প্রশ্ন ও নবীদের ব্যাপারে মতভেদের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। কাজেই আমি যখন কোন কিছু নিষেধ করি তখন তোমরা সেটা থেকে বিরত থাক। আর আমি যখন তোমাদেরকে কোন কিছুর হুকুম করি, তখন সেটা যথাসাধ্য কর। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ)
২. হযরত আবূ নাজীহ ইরবাদ ইব্নে মারিয়া রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জ্বালাময়ী ভাষায় আমাদের উপদেশ দিলেন। এতে আমাদের সকলের মন গলে গেল এবং চোখ দিয়ে পানি ঝরতে লাগল। আমরা বললাম, ইয়া রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটা তো বিদায়ী উপদেশের মত। কাজেই আমাদের আরও উপদেশ দিন, তিনি রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি মহান আল্লাহকে ভয় করার জন্য তোমাদের উপদেশ দিচ্ছি আর তোমাদের উপর হাবশী গোলামকে শাসনকর্তা নিযুক্ত করে দিলেও তার কথা শুনবে ও তার আনুগত্য করার উপদেশ দিচ্ছি। আর তোমাদের কেউ জীবিত থাকলে সে বহু মতভেদ দেখতে পাবে। তখন আমার সুন্নত এবং হেদায়ত প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নত অনুসরণ করা হবে তোমাদের অপরিহার্য কর্তব্য। এ সুন্নতকে খুব মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরে থাক এবং সমস্ত বিদ’আত থেকে বিরত থাক। কেননা প্রত্যেকটি বিদ’আতই প্রথভ্রষ্ট। (আবু দাউদ ও তিরমীযী)
৩. হযরত আবূ হোরায়রা রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার সকল উম্মত জান্নাতে যাবে। তবে যারা অস্বীকার করবে তারা যাবে না। জিজ্ঞেস করা হলো ইয়া রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরা কারা অস্বীকার করে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল সে বেহেশতে প্রবেশ করল, আর যে ব্যক্তি আমার বিরোধিতা করল সে অস্বীকার করল। (বোখারী শরীফ)
হযরত আবু মুসলিম অথবা আবু আয়াস সালামা ইবনে আমর ইবনে আকওয়া রাদিয়ালাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-একদল লোক রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে বাম হাতে খেতে লাগল। তিনি বললেন, ডান হাতে খাও। সে বলল, আমি পারি না। তিনি বললেন, “তুমি যেন না পার।” অহংকারই তাকে এ হুকুম পালনে বাধা দিয়েছিন। তারপর সে তার হাত মুখের কাছে উঠাতে পারল না।
Leave a Reply